Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2020

সন্ধ্যায় গোধুলীর আলো,নদীর জলে রূপালী চাঁদের প্রতিচ্ছবি ও ভোরের আকাশে সোনালী সূ্র্য দেখে আসার প্ল্যান

সন্ধ্যায় গোধুলীর আলো,নদীর জলে রূপালী চাঁদের প্রতিচ্ছবি কিংবা ভোরের আকাশে কুয়াশার চাদর গায়ে জেগে উঠা সোনালী সূ্র্য। এমন একটি রাত কাটাতে চান অনেকেই। বিভিন্ন সময় যাদের প্রশ্ন ছিল কোথায় যাবেন ? কিভাবে যাবেন ? তাদের জন্য সুন্দর ও উপভোগ্য সময় কাটাতে আমার এই পরামর্শ। আশাকরি খুবই ভাল লাগবে। সারা দিনের ব্যাস্ততা শেষ করে কোন এক বৃহস্পতিবার বিকেলে চলে আসুন ঢাকা নদী বন্দর সদরঘাট এর লালকুঠি ঘাট এ ( চাঁদপুর ঘাট), এখানে বিকাল ৪ঃ৩০ থেকে আপনার জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ এর অভ্যান্তরীন নদী পথের সবচেয়ে নিরাপদ, আধুনিক জাহাজ বি আই ডব্লিও টিসি এর রকেট সার্ভিস এর অন্তঃগত এম ভি মধুমতি। লালকুঠি ঘাটে অবস্থান রত এম ভি মধুমতি জাহাজ আগে থেকে টিকেট না করে থাকলে ঘাটেই কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করে উঠে পরুন। তবে পারলে যতদুর সম্ভভ আগে টিকেট করে নিবেন, কারন আপনার মত অনেকেরই প্রথম পছন্দ এম ভি মধুমতী জাহাজ তাই ঘাটে প্রথম শ্রেনীর টিকেট নাও পেতে পারেন, আর হ্যা মনে রাখবেন এই জাহাজটির টিকেট মূল্য সরকার নির্ধারিত তাই অতিরিক্ত টাকা দিয়েও টিকেটের আকাঙ্ক্ষা পূরন যাবেনা। ৩য় তলায় পেছনের অংশ ওপেন ডেক এবার চলে আসুন জাহাজে...

আমের রাজ্য রাজশাহী

লেখকঃ  হাবিব হোসেন   রাজশাহী নির্মল, দুষণমুক্ত শহর হিসেবে রাজশাহীর পরিচিতি আজ বিশ্বজোড়া। রাজশাহী জেলা বিশেষ করে রাজশাহী শহর একইসাথে বিভিন্ন নামে পরিচিত, রেশম নগরী, শিক্ষা নগরী, আমের রাজধানী, শান্তির শহর, সবুজ নগরী অন্যতম। এসব প্রত্যেকটা বিশেষণই শুধু রাজশাহীকেই মানায়। রাজশাহীর সিল্ক দেশের সুনামের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পরেছে সারা বিশ্বে, রাজশাহীতে রয়েছে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিসঠান, রয়েছে সুশিক্ষার সুন্দর পরিবেশ। বাংলাদেশের আপামর জনগণ ভালো আম বলতে রাজশাহীর আমকেই চেনে। রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলনামুলক ভালো। সারা রাজশাহীতে রয়েছে সবুজের সমারোহ। রাজশাহী শহর ছিমছাম সাজানো গোজানো একটা শহর। যে একবার রাজশাহীতে এসেছে, রাজশাহীরর প্রশংসা অবশ্যjই তার মুখে শুনবেন। রাজশাহীতে রয়েছে দেখার মতো অনেক স্থান। আজ রাজশাহীর কিছু দর্শণীয় স্থান আপনাদের কাছে তুলে ধরছি: পুঠিয়া রাজবাড়ী রাজশাহী জেলা সদর হতে ৩২ কিঃমিঃ উত্তর- পূর্বে নাটোর মহাসড়ক অভিমুখে পুঠিয়া অবস্থিত। বাসে করে দেশের যে কোন স্থান হতে পুঠিয়া আসা যায় এবং ট্রেনে করে নাটোর অথবা রাজশাহী নেমেও সড়কপথে সহজে আসা যায়। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী জ...

২০১ গম্বুজ মসজিদ

লেখকঃ  জাওয়াদ আলম জারিফ   টাঙ্গাইল নির্মাণাধীন এই মসজিদটি গম্বুজের দিক থেকে প্রথম এবং উচ্চতর দিক থেকে দ্বিতীয় হতে যাচ্ছে। এখনো পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি তবে প্রতিনিয়ত এখানে নামাজ পড়ানো হয়। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ছাদে ৮১ ফুট উচ্চতার একটি গম্বুজ রয়েছে। এই বড় গম্বুজের চারপাশে ছোট ছোট গম্বুজ আছে ২০০টি। এই মসজিদের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৫,০০০ জন। এই মসজিদে রয়েছে চোখ ধাঁধানো সব কারুকাজ আর উপরের দেয়ালে অংকিত রয়েছে পুরো কুরআন শরীফ। যেভাবে যাবেন ঢাকা মহাখালি থেকে গোপালপুরের সরাসরি বাস রয়েছে। ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা।আবার চাইলে একটু রিলাক্সে এসি বাসেও যেতে পারেন। কল্যানপুর থেকে ধনবাড়ি গামি এসি বাস এ করে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট নেমে সিএনজি করে গোপালপুর যেতে পারবেন। বাস যেখানে থামে সেখান থেকে অটো বা সিএনজি করে যাওয়া যায় পাথালিয়া ইউনিয়নের এই মসজিদে। আবার ফেরত আসার সময় গোপালপুর থেকে বিকেল পাঁচটায় সর্বশেষ ঢাকাগামী বাস ছেড়েআসে। আর কেউ যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে সকাল ৬:৩০ টায় কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে টাঙ্গাইলের ট্রেনে উঠে চলে যেতে পারেন। খরচ ঢাকা মহাখালি থেকে গোপালপুরের সরাসরি বাস ১৫০-২০০ টাকা। বাসস্ট্য...

সাজেকের জনপ্রিয় সব রিসোর্টের তথ্য

লেখকঃ নুরুল করিম আকাশে শুভ্র মেঘের উড়াউড়ি দেখতে সবারই ভালো লাগে, আর অনেক সময়তো আমাদের ইচ্ছে করে মেঘকে ছুঁয়ে দেখতে। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক ভ্যালি তেমনি এক স্বপ্নময় স্থান। চারপাশে সাদা মেঘের ভেলা মনের ক্লান্তিকে যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সবুজে ঢাকা পাহাড়, সাদা মেঘ আর আলোআঁধারির খেলায় সবসময় মেতে থাকে এই সাজেক ভ্যালি। বর্ষা, শরৎ এবং হেমন্ত সাধারণত এই তিন ঋতুতে মেঘের লুকোচুরি দেখতে পর্যটকদের বেশি সমাগম ঘটে। পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সাজেক ভ্যালিতে থাকার ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে বেশকিছু রিসোর্ট। যেখানে আপনি নিশ্চিন্তে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে থাকতে পারবেন। হোটেলস ইন বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনেকেই সাজেকের হোটেলের তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তাদের প্রতি সম্মান রেখে বিস্তারিত দেওয়া হলো- সাজেক রিসোর্ট সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত এই সাজেক রিসোর্টটি এসি আর নন এসি ভেদে প্রতিটি রুম ভাড়া ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা। রিসোর্টটির দ্বিতীয় তলায় আছে সব মিলিয়ে চারটি কক্ষ। সাথে আছে খাবারের ব্যবস্থাও। সাজেক রিসোর্টটি এমন ভাবে তৈরি করা যে রুমের ভেতর থেকে তাকালেই বাহি...