Skip to main content

ইন্ডিয়ার ট্রেনের টিকিট




অহেতুক ঝামেলা ছাড়াই বাংলাদেশে বসে নিজেরাই ইন্ডিয়ার ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলুন কোনরুপ দালাল বা এজেন্সির বা Apps এর সাহায্য ছাড়াই।২০ দিনের এক ভয়াবহ 🙂 প্লান নিয়ে ঢাকা > কলকাতা > আগ্রা > দিল্লী > মানালী > ডালহউসি ( কাশ্মীর বিদেশীদের জন্য বন্ধ তাই কাশ্মিরের খুব কাছের এই জায়গা নির্বাচন ) > আম্রিতাসর ( পাঞ্জাব ) > কলকাতা এর প্লান করা । ফেব্রুয়ারিতে যাচ্ছি । শুরু থেকে চিন্তায় আছি । আমাদের গ্রুপ মেম্বার ৪ জন থেকে কমে শেষে তিনে গিয়ে ঠেকেছে । এটা আমাদের প্রথম ইন্ডিয়া ভ্রমণ । তারুপর আমরা প্রথম দিন কলকাতায় থাকব না । সবার শেষে কলকাতা ঘুরা ঘুরি । ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে অনেক টেনশনে ছিলাম । দালাল , এজেন্সি এসব থেকে সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করেছি । অনেক খুজা খুজির পর অবশেষে আল্লাহর রহমতে পেয়ে গেলাম সুযোগ 🙂

এবার শুনুন কিভাবে ইন্ডিয়ার যেকোন ট্রেনের টিকিট দালাল ছাড়া বাংলাদেশ থেকেই কিনবেন কোন রুপ Extra চার্জ ছাড়াই ।

প্রথম ধাপ:

প্রথমে আপনাকে www.irctc.co.in একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে । এখানে অ্যাকাউন্ট করাটা ঝামেলার আবার বুদ্ধি থাকলে সোজা । এখানে অ্যাকাউন্ট করতে হলে একটা Indian নাম্বার লাগবে । Sign Up করার সময় জাতীয়তা বাংলাদেশ দিবেন । আর Residential Address এর ওখানে *Pin বলতে আপনার এলাকার কোড , যেমন ধানমণ্ডি ১২০৯ বা লালমনিরহাট ৫৫০০ এটা । যাদের Indian নাম্বার নেই তারা 9999999999 দিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। । এক ছোট ভাই বর্তমানে India তে অবস্থান করার কারনে এই ঝামেলা খুব সহজে পার পেয়ে গেলাম ।

২য় ধাপ:

এর পর নিজের অ্যাকাউন্ট এ লগ ইন করুন । ফোন আর Email ভেরিফাই করুন । আর সব শেষে care@irctc.co.in এর ঠিকানায় আপনার Passport এর একটা স্ক্যান বা ছবি পাঠায় দিন আপনার User Name সহ ( না দিলেও কিছু হবে না , বাট চেষ্টা করবেন দিতে ) । এর পর স্বাভাবিক নিয়মেই টিকিট কাটুন ( দেখলেই বুঝে যাবেন । সোজা প্রসেস ) । এখানে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন টিকিট কেনার সময় অবশ্যই জাতীয়তা বাংলাদেশী দিবেন । এর পর পাসপোর্ট নাম্বার দিবেন আর অবশ্যই E-Ticket
.
৩য় ধাপ:

ট্রেন ও টিকিট নিশ্চিত করার পর আপনি যখন পেমেন্ট অপশনে যাবেন । তখন আপনার ট্রাভেল কার্ড বা ইন্ডিয়ান কোন ব্যাংক বা American Express বা International Card ( Master বা ভিসা ) দিয়ে পেমেন্ট দিতে হবে । আমার International Master Card আছে সেটা দিয়েই পেমেন্ট করেছি । এখানে টিকিট আপনাকে PDF আকারে দিবে ।যাত্রার সময় টিকিট প্রিন্ট + নিজের পাসপোর্ট এর ফটোকপি একসাথে করে টিটিকে দেখাতে হবে । আমাদের টিকিট করা আছে শিয়ালদাহ থেকে আগ্রা ফোরট AJMER EXPRESS আর আম্রিতাসর থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত HWH MAIL ।

৪র্থ ধাপ ঃ

শিয়ালদাহ থেকে আগ্রা ফোরট = ৫৬৫ রুপি বা ৮.৯৪ ডলার । SL
আম্রিতাসর থেকে হাওড়া স্টেশন = ৬৯৫ রুপি বা ১০.৯৯ ডলার । SL

সাবধানতাঃ

১. IRCTC সরকারি Website সো কোন ২ নাম্বারি নাই
২. এক অ্যাকাউন্ট দিয়ে এক সাথে সর্বাধিক ৬ জনের টিকিট কাটতে পারেন
৩. ভ্রমণের সময় অবশ্যই টিকিটের কপির সাথে পাসপোর্ট এর ফটোকপি দিবেন । না হলে জরিমানা নিশ্চিত
৪. অবশ্যই ভ্রমনের ১০ দিন আগে টিকিট বুক করবেন । না হলে টিকিট পাবার সম্ভাবনা কম ।
৫. যার অ্যাকাউন্ট তাকে অবশ্যই ভ্রমন করতে হবে । সো নিজের অ্যাকাউন্ট করে অপরিচিত কাউকে বা ব্যাবসা শুরু করে দিবেন সে রকমের কোন সুযোগ নেই ।
.
IRCTC কিছু সাধারন সুবিধাঃ

IRCTC সম্পূর্ণ ভাবে ইন্ডিয়ান সরকার নিয়ন্ত্রিত । এখান থেকে শুধু যে ট্রেন টিকিট কাটতে পারবেন তা কিন্তু না । এখানে রয়েছে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাস , ক্যাব ও বিমানের টিকিট কাটার সুবিধা ।

কিছু সাধারন জিজ্ঞাসাঃ

১. আমার ইন্ডিয়ান মোবাইল নাম্বার নেই আমি কি ভাবে Account করব ?
উত্তরঃ ইন্ডিয়া যাবার পরপরেই একটা Indian সিম কিনে এখানে অ্যাকাউন্ট করে ফেলুন । আর বাকি ভ্রমণটা নিশ্চিন্তে থাকুন
২. আমার ইন্টারন্যাশনাল , ট্র্যাভেল , ভিসা বা মাস্টারকার্ড নেই । আমি কি করব ?
উত্তরঃ পরিচিত কারো সাহায্য নিন।

আমাদের Adventure আর Original India কেমন সেটা দেখার অদ্ভুত শখ জেগেছে । তাই কম দামের SL ( Sleeper ) এ টিকিট কেটেছি , সাথে বোনাস হিসেবে বার্থ ও আছে । ভালো থাকবেন সবাই।

 

Comments

Popular posts from this blog

২০১ গম্বুজ মসজিদ

লেখকঃ  জাওয়াদ আলম জারিফ   টাঙ্গাইল নির্মাণাধীন এই মসজিদটি গম্বুজের দিক থেকে প্রথম এবং উচ্চতর দিক থেকে দ্বিতীয় হতে যাচ্ছে। এখনো পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি তবে প্রতিনিয়ত এখানে নামাজ পড়ানো হয়। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ছাদে ৮১ ফুট উচ্চতার একটি গম্বুজ রয়েছে। এই বড় গম্বুজের চারপাশে ছোট ছোট গম্বুজ আছে ২০০টি। এই মসজিদের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৫,০০০ জন। এই মসজিদে রয়েছে চোখ ধাঁধানো সব কারুকাজ আর উপরের দেয়ালে অংকিত রয়েছে পুরো কুরআন শরীফ। যেভাবে যাবেন ঢাকা মহাখালি থেকে গোপালপুরের সরাসরি বাস রয়েছে। ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা।আবার চাইলে একটু রিলাক্সে এসি বাসেও যেতে পারেন। কল্যানপুর থেকে ধনবাড়ি গামি এসি বাস এ করে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট নেমে সিএনজি করে গোপালপুর যেতে পারবেন। বাস যেখানে থামে সেখান থেকে অটো বা সিএনজি করে যাওয়া যায় পাথালিয়া ইউনিয়নের এই মসজিদে। আবার ফেরত আসার সময় গোপালপুর থেকে বিকেল পাঁচটায় সর্বশেষ ঢাকাগামী বাস ছেড়েআসে। আর কেউ যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে সকাল ৬:৩০ টায় কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে টাঙ্গাইলের ট্রেনে উঠে চলে যেতে পারেন। খরচ ঢাকা মহাখালি থেকে গোপালপুরের সরাসরি বাস ১৫০-২০০ টাকা। বাসস্ট্য...

সাজেকের জনপ্রিয় সব রিসোর্টের তথ্য

লেখকঃ নুরুল করিম আকাশে শুভ্র মেঘের উড়াউড়ি দেখতে সবারই ভালো লাগে, আর অনেক সময়তো আমাদের ইচ্ছে করে মেঘকে ছুঁয়ে দেখতে। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক ভ্যালি তেমনি এক স্বপ্নময় স্থান। চারপাশে সাদা মেঘের ভেলা মনের ক্লান্তিকে যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সবুজে ঢাকা পাহাড়, সাদা মেঘ আর আলোআঁধারির খেলায় সবসময় মেতে থাকে এই সাজেক ভ্যালি। বর্ষা, শরৎ এবং হেমন্ত সাধারণত এই তিন ঋতুতে মেঘের লুকোচুরি দেখতে পর্যটকদের বেশি সমাগম ঘটে। পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সাজেক ভ্যালিতে থাকার ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে বেশকিছু রিসোর্ট। যেখানে আপনি নিশ্চিন্তে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে থাকতে পারবেন। হোটেলস ইন বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনেকেই সাজেকের হোটেলের তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তাদের প্রতি সম্মান রেখে বিস্তারিত দেওয়া হলো- সাজেক রিসোর্ট সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত এই সাজেক রিসোর্টটি এসি আর নন এসি ভেদে প্রতিটি রুম ভাড়া ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা। রিসোর্টটির দ্বিতীয় তলায় আছে সব মিলিয়ে চারটি কক্ষ। সাথে আছে খাবারের ব্যবস্থাও। সাজেক রিসোর্টটি এমন ভাবে তৈরি করা যে রুমের ভেতর থেকে তাকালেই বাহি...

মেঘের রাজ্য মেঘালয় ভ্রমণ

মেঘালয় ট্যুর ৫ রাত ৪দিন।ভিসা প্রসেসিং আর ট্রাভেল ট্যাক্স সহ ৮২০০ টাকায় সকল খরচ। কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন, ঘুরবেন, খরচ সহ বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দিলাম। আসা করি লেখা টি পড়ে আপনি নিজে মেঘালয় ঘুড়ে আসতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়া। মেঘালয় যাওয়ার কথা ভাবছেন? ভালো কোন গ্রুপ বা কোন প্যাকেজ পাচ্ছেন না? একা গেলে খরচ বেশি তাই ইচ্ছা থাকা সত্যও যেতে পারছেন না? তাহলে আপনার জন্যই আমার এই লেখা।আপনার ভ্রমনে বিন্দু পরিমানে উপকারে আসলেও আমার কষ্ট করে লেখা সার্থক। ছোট বেলা থেকেই মেঘ ছোয়ার ইচ্ছে ছিলো প্রবল। সাজেক(খাগড়াছড়ি) আর নীলগিরি(বান্দরবন) ভ্রমনে মেঘের খেলা দেখে মেঘের প্রতি দুর্বলতা আরও বেশী বেড়ে যায়।ভাবতে থাকি কিভাবে মেঘ আরও কাছ থেকে ধরা-ছোঁয়া যায়।অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো।মেঘ ধরার স্বপ্ন নিয়ে মেঘের রাজ্য “মেঘালয়” গেলাম। আমি গত ১৫অক্টোবর রাতের গাড়িতে মেঘালয় যাই এবং ২০তারিখ ফিরে আসি। ভিসা প্রসেসিংঃ ৮০০টাকা। ট্রাভেল ট্যাক্সঃ ৫০০টাকা। ১ম রাতঃ বাসা থেকে সায়দাবাদঃ৩০টাকা। ঢাকা টু তামাবিল(জাফলং ও একই ভাড়া)বাস ভাড়াঃ ৪০০টাকা। রাতের খাবার(হোটেল উজানভাটা) ১০০টাকা। সকালের নাস্তা(বর্ডার সংলগ্ন চায়ের দোকান) ৩০টাকা। বাং...